Image

Image

0
চাঁদে বাতাস নেই কেন?
চাঁদ 



মূল লেখকঃ জামিল হোসেন সেযান
পৃথিবী আমাদের বাসভুমি।এখানে সকল প্রাণীরা মিলে প্রান ভরে শ্বাস নিচ্ছে।দুঃখের বিষয় হল এত সুন্দর চাঁদ,যেটি দেখে পৃথিবীর মানুষেরা কবিতা লেখে সেখানে কিনা কোন বায়ুই নেই।কোথায় গেল এই বাতাস ?নাকি কোন কালেও ছিল না?
এই প্রশ্নের জবাব পেতে হলে আমাদের আগে বুঝতে হবে বায়ুমণ্ডল কেন হয়।আর এর সোজা জবাব হলঃ যখন কোন গ্রহ বা উপগ্রহ গ্যাসীয় অবস্থা থেকে আস্তে আস্তে ঠাণ্ডা হয়ে কঠিন আকার ধারন করে গোলাকার রুপ নেয় তখন কিছু গ্যাস বাহিরে ঐ অবস্থায় ই পড়ে থাকে।আর সেই গ্যাস থেকেই পরবর্তীতে কোন গ্রহের বায়ুমণ্ডল গড়ে ওঠে।তাহলে কি চাঁদের ও বায়ুমণ্ডল ছিল।হ্যাঁ,এক সময় চাঁদের ও বায়ুমণ্ডল ছিল।কিন্তু চাঁদ তা ধরে রাখতে পারে নি।কারন হল,প্রতিটি গাসের মত বায়ুও হল কিছু সংখ্যক গ্যাসের মিশ্রণ।আর আমরা জানি প্রতিটি গ্যাসই হল নানা দিকে ছুটে যাওয়া অনুর একটা বিশৃঙ্খল সমষ্টি মাত্র।আর এই ছুটে চলার গতিবেগ ০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় প্রায় ০.৫ কিঃমিঃ।আর এটা বেড়ে ৮০০ মিটার/সেকেন্ড এর বেশী সাধারনত হয় না।কিন্তু এটা হল একটা গড় হিসাব।অনেক অনুর বেগ বেড়ে ৩ কিঃমিঃ বা তার বেশিও হতে পারে।এখানে আর একটা কথা বলে রাখা ভাল যে,কোন গ্রহ যেমন পৃথিবী থেকে কোন বস্তু এর মাধ্যাকর্ষণ ভেদ করে এর থেকে বের করে দিতে হলে, এর যে মুক্তিবেগ বা তার থেকে বেশী বেগে ছুরতে হবে।তাই অনেক জোরে বুলেট ছুরলেও সেটা পৃথিবী ভেদ করে চলে না গিয়ে আবার পৃথিবীতেই ফিরে আসে।আর পৃথিবীর জন্য এই বেগ হল ১১.২ কিঃমিঃ/সেকেন্ড।এই বেগ নির্ভর করে কোন গ্রহের ভরের উপর।তাই ১১.২ কিঃমিঃ/সেকেন্ড এর কম গতিসম্পন্ন কোন বস্তুই পৃথিবী থেকে বের হয়ে যেতে পারবে না।সুতুরাং বাতাস এই বেগ অর্জন করতে না পেরে আমাদের পৃথিবীর সাথেই ঘুরপাক খাচ্ছে।কিন্তু চাঁদের ভর কম হওয়ায় এর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ৬ ভাগের এক ভাগ।আর মুক্তিবেগও ৬ ভাগের এক ভাগ।যেটা গ্যাসীয় পদার্থ ভেদ করে মহাশুন্নে চলে যেতে পারে।তাই প্রথম দিকে চাঁদের বায়ুমণ্ডল থাকলেও এখন তার কোন কিছুই অবশিষ্ট নেই

Post a Comment

Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.